Home » গাংনীতে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট শাখায় দুর্ধর্ষ চুরি

গাংনীতে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট শাখায় দুর্ধর্ষ চুরি

কর্তৃক lSijNmTsFqFa
০ মন্তব্য ৫৪ ভিউস

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী বাজারে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট শাখায় দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (৩ মার্চ) দিবাগত রাতে চোরের দল ব্যাংকের জানালার গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে ভল্ট ভেঙে ৮ লাখ ১০ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। শুধু টাকাই নয়, ব্যাংকের সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্কও নিয়ে গেছে চোরেরা, যাতে কোনো প্রমাণ না থাকে।

ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক হামিদুল ইসলাম কাজল জানান, প্রতিদিনের মতো সোমবার দিনের লেনদেন শেষে ব্যাংক বন্ধ করা হয়। ব্যাংকের ভল্টে ৮ লাখ ১০ হাজার টাকা সংরক্ষিত ছিল। মঙ্গলবার সকালে ব্যাংক খুলতে গিয়ে দেখা যায়, জানালার গ্রিল কাটা, ভেতরে সবকিছু এলোমেলো, আর ভল্টের তালা ভাঙা। টাকা উধাও, সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্কও খুলে নিয়ে গেছে চোরের দল।

তিনি বলেন, “ব্যাংকে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা ছিল, কিন্তু চোরেরা খুব পরিকল্পিতভাবে হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে গেছে, যাতে তাদের চেহারা ধরা না পড়ে। আমরা দ্রুত পুলিশকে খবর দিই, এবং তারা ঘটনাস্থলে আসে।”

চুরির খবর পাওয়ার পরপরই গাংনী থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ এবং অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল), মেহেরপুর, আব্দুল করিম বলেন, “আমরা চোরদের শনাক্ত করতে কাজ করছি। আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে, এবং সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।”

তিনি আরও বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চোরেরা ব্যাংকের কার্যপ্রণালী সম্পর্কে জানত এবং পরিকল্পিতভাবে এই চুরি করেছে। তদন্ত চলছে, এবং আশা করছি দ্রুত দুষ্কৃতিকারীদের আইনের আওতায় আনা যাবে।”

ব্যাংকে চুরির খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। অনেকেই সকালে ব্যাংকের সামনে ভিড় করেন। এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “এলাকায় এ ধরনের চুরি আগে খুব বেশি হয়নি। ব্যাংকের মতো নিরাপদ জায়গায় যদি চুরি হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ কতটা নিরাপদ?”

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, এজেন্ট ব্যাংকগুলো গ্রামীণ অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, তাই নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা উচিত। তারা দ্রুত চোরদের গ্রেফতার ও ব্যাংকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার দাবি জানিয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, ব্যাংকের আশপাশের দোকান, রাস্তার মোড়ে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন এবং তদন্ত চলছে।

রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন

আমাদের সম্পর্কে

দৈনিক আমাদের সময় একটি জনপ্রিয় বাংলা সংবাদপত্র, যা অনলাইন ও প্রিন্ট মাধ্যমে দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য সংবাদ প্রকাশ করে।

প্রকাশক ও সম্পাদক

প্রধান সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন
প্রধান উপদেষ্টা হাজী মোঃ আলফাজ উদ্দীন
সহকারী উপদেষ্টা মোঃ আলাউদ্দিন ( আলা)
সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ সেলিম রেজা
ব্যাবস্থাপনা ও বার্তা সম্পাদক মোঃ মাহাবুল ইসলাম
আইন বিষয়কসম্পাদক এ্যাডভোকেট মোঃ জিল্লুর রহমান ( জিল্লু ) জজ কোর্ট মেহেরপুর।

ফেসবুকে নিউজ পেতে ফলো করুন

© ২০২৫ দৈনিক সময় বাংলাদেশ । সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।
কারিগরি সহযোগিতাঃ দেশি হোস্টিং, আমঝুপি, মেহেরপুর।