Home » মেহেরপুরে দালাল আর কর্মকর্তাদের কাছে জিম্মি আবুল খায়েরের তামাক চাষীরা

মেহেরপুরে দালাল আর কর্মকর্তাদের কাছে জিম্মি আবুল খায়েরের তামাক চাষীরা

কর্তৃক lSijNmTsFqFa
০ মন্তব্য ২৩ ভিউস

মেহেরপুরে আবুল খায়ের টোব্যাকোর কর্মকর্তা, কর্মচারী ও দালালদের সিন্ডিকেটের কারণে জেলার তামাক চাষীরা এবার লোকসানের মুখে পড়েছে। তামাকের মূল্যে কারসাজি করে কোম্পানীর কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠলেও আবুল খায়ের টোব্যাকোর কর্মকর্তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে। দ্রত তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তামাক চাষীদের।
চাষীরা জানিয়েছেন, আবুল খায়ের কোম্পানীর বায়ার আকরাম হোসেন, ফয়সাল হোসেন, আবুল কালাম, রেজাউল হক ও ফিল্ড ওর্য়াকার আব্দুর রাজ্জাকের যোগসাজে প্রান্তিক তামাক চাষীরা পথে বসেছে। কর্মকর্তা কর্মচারীদের কমিশন না দেওয়ার ফলে ন্যায্য মূল্যে তামাক বিক্রি করতে না পেরে দিনদিন ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়ছে চাষীরা।
কোম্পানীর প্রতিনিধিদের মনজয় করতে না পারায় নানা অজুহাত দেখিয়ে তামাক ফেরত দিয়ে চাষীদের হয়রানি করায় বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে চাষীরা।
চাষীদের অভিযোগ, কোম্পানির প্রতিনিধিরা চাষীদের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে অতিরিক্ত তামাক চাষ করালেও চাষীদের খোঁজখবর না নিয়ে সার্বক্ষণিক ব্যবসায়ীদের সাথে আতাত করে তামাক ক্রয় শুরু করেছে, তাদের ইচ্ছে মতো তামাক ক্রয় করার ফলে লোকসানের মুখে পড়েছে চাষীরা।
তামাক চাষীরা জানান, গাড়াবাড়িয়া ডিপোর আকরাম হোসেন, মদনা ডিপোর ফয়সাল হোসেন ও রেজাউল হককে কমিশন না দিলে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে চাষীদের তামাক ফেরত দিচ্ছে এবং তামাকের ন্যায্য মূল্য না দিয়ে কর্তৃপক্ষের নিয়োগ করা ব্যবসায়ীদের সাথে উৎকোচ নিয়ে নিম্নমানের তামাক বেশি দাম দিয়ে ক্রয় করছে, একারণে কোম্পানীর লোকসান হলেও লাভবান হচ্ছেন এরিয়া ম্যাজোর, বায়ার সহ এর সাথে জড়িত কয়েকজন কর্মকর্তা কর্মচারী। এর ফলে বাধ্য হয়ে শত শত তামাক চাষী বাইরের জেলার ব্যবসায়ীদের কাছে কম দামে তামাক বিক্রয় করছেন। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও ব্যবসায়ীদের সাথে অতি মাখামাখি করার ফলে আগামী বছরে তামাক চাষ মুখ থুবুড়ে পড়বে বলে জানান জেলার চাষীরা।
কালী-গাংনী গ্রামের তামাক চাষী তমছের আলী জানান, ‘আমি গত বুধবার গাড়াবাড়িয়া ডিপোতে তামাক নিয়ে গেলে আমার ৫টি বেল কারণ ছাড়াই বাতিল করেছেন। প্রতিদিন শত শত বেল তামাক ফেরত দিয়ে চাষীদের সাথে প্রতারণা শুরু করেছেন। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিম্নমানের তামাক বিক্রয় করছেন কর্মকর্তারা’।
গাংনী উপজেলার রায়পুর গ্রামের তামাক চাষী জমশেদ আলী জানান, উল্টোপাল্টা বুঝিয়ে চাষীদের তামাক না নিয়ে অধিকাংশ তামাক ফেরত দিচ্ছে। গতকাল আমারও দুই বেল তামাক ফেরত দিয়েছে। তামাক চাষীরা এ বছর তামাক বিক্রয় করতে না পারলে আর্থিক সংকটের মুখে পড়বে।
সিন্দুরকৌটা এলাকার কয়েকজন চাষী জানান, ফিল্ড ওর্য়াকার আব্দুর রাজ্জাকের ইশারায় তার নিকট আত্নীয়ের মাধ্যমে নিম্নমানের তামাক উচ্চমূল্যে বিক্রি করছে।
এবিষয়ে বায়ার আকরাম হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব না হলেও কর্মকর্তা ফয়সাল হোসেন বলেন, আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি সত্য নয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, চাষীরা তামাকের বেলের ভিতরে দড়ি ও তামাকের কোয়ালিটি না করে বেল বেঁধে নিয়ে আসে একারণে কিছু তামাক বেল ফেরত যায় তবে পরিস্কার করে নিয়ে আসলে তামাক নেয়া হবে।
এবিষয়ে এরিয়া ম্যানেজার ইকবাল হোসেনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দেয়া হলে তিনি রিসিভ করেনি।

রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন

আমাদের সম্পর্কে

দৈনিক আমাদের সময় একটি জনপ্রিয় বাংলা সংবাদপত্র, যা অনলাইন ও প্রিন্ট মাধ্যমে দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য সংবাদ প্রকাশ করে।

প্রকাশক ও সম্পাদক

প্রধান সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন
প্রধান উপদেষ্টা হাজী মোঃ আলফাজ উদ্দীন
সহকারী উপদেষ্টা মোঃ আলাউদ্দিন ( আলা)
সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ সেলিম রেজা
ব্যাবস্থাপনা ও বার্তা সম্পাদক মোঃ মাহাবুল ইসলাম
আইন বিষয়কসম্পাদক এ্যাডভোকেট মোঃ জিল্লুর রহমান ( জিল্লু ) জজ কোর্ট মেহেরপুর।

ফেসবুকে নিউজ পেতে ফলো করুন

© ২০২৫ দৈনিক সময় বাংলাদেশ । সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।
কারিগরি সহযোগিতাঃ দেশি হোস্টিং, আমঝুপি, মেহেরপুর।