Home » ডোবা দেখিয়ে ৪৭০ একর ভূমি বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ

ডোবা দেখিয়ে ৪৭০ একর ভূমি বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ

কর্তৃক lSijNmTsFqFa
০ মন্তব্য ১২৮ ভিউস

ডোবা দেখিয়ে চট্টগ্রামে ৪৭০ একর ভূমি দীর্ঘ মেয়াদে বসুন্ধরা গ্রুপের দুটি কোম্পানির অনুকূলে বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ কমিটি গঠন করে তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি কমিটির কার্যক্রমের অগ্রগতি জানিয়ে তিন মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

ভূমিসচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারসহ বিবাদীদের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (২০ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ কাওছার শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজ বিন ইউসুফ, শফিকুর রহমান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।

‘সমুদ্রসৈকতকে ডোবা দেখিয়ে বসুন্ধরাকে বরাদ্দ’ শিরোনামে গত বছরের ১০ অক্টোবর একটি অনলাইন পোর্টালে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি যুক্ত করে বরাদ্দের বৈধতা নিয়ে এবং তদন্তের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে গত ডিসেম্বরে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ কাওছার।

আদেশের বিষয়ে আইনজীবী মোহাম্মদ কাওছার জাগো নিউজকে বলেন, চট্টগ্রামে সমুদ্রসৈকতের বালুচর শ্রেণির জায়গার শ্রেণি পরিবর্তন করে ডোবা দেখিয়ে বসুন্ধরার দুটি কোম্পানিকে দীর্ঘ মেয়াদে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। এতে রাষ্ট্র ১৮০ কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়। তাই জনস্বার্থে রিটটি করা হয়।

এ সংক্রান্ত শুনানি নিয়ে আদালত রুল দিয়ে ৪৭০ একর ভূমি বরাদ্দ এবং অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন। ওই বরাদ্দ প্রক্রিয়া কেন অবৈধ হবে না, রুলে সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে।

প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের প্রভাবশালী ব্যবসায়ী গ্রুপ বসুন্ধরাকে চট্টগ্রামের একটি সমুদ্রসৈকতের বালুচর শ্রেণির জমিকে নথিপত্রে ডোবা দেখিয়ে বরাদ্দ দিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার চর বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের তিনটি মৌজা থেকে সমুদ্রসৈকতের ৪৭০ একর জায়গা বরাদ্দ দেয় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই বরাদ্দ দিতে গিয়ে তড়িঘড়ি করে ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন করে ভূমি মন্ত্রণালয়। এ কারণে জায়গাটির বাজারমূল্যের তিনগুণ কম দামে বরাদ্দ পায় বসুন্ধরা গ্রুপ। মৌজা রেট অনুযায়ী বালুচর শ্রেণির (সৈকত) ৪৭০ একরের বর্তমান মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ২৩৫ কোটি টাকা (২০১৭-১৮ সালের মৌজার মূল্য অনুযায়ী)। শ্রেণি পরিবর্তনের কারণে সেটা মাত্র প্রায় ৫৫ কোটি টাকায় দীর্ঘমেয়াদি বন্দোবস্ত দেওয়া হয় বসুন্ধরাকে। আর ভূমির এ শ্রেণি পরিবর্তন করায় সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হয় প্রায় ১৮০ কোটি টাকা।

রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন

আমাদের সম্পর্কে

দৈনিক আমাদের সময় একটি জনপ্রিয় বাংলা সংবাদপত্র, যা অনলাইন ও প্রিন্ট মাধ্যমে দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য সংবাদ প্রকাশ করে।

প্রকাশক ও সম্পাদক

প্রধান সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন
প্রধান উপদেষ্টা হাজী মোঃ আলফাজ উদ্দীন
সহকারী উপদেষ্টা মোঃ আলাউদ্দিন ( আলা)
সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ সেলিম রেজা
ব্যাবস্থাপনা ও বার্তা সম্পাদক মোঃ মাহাবুল ইসলাম
আইন বিষয়কসম্পাদক এ্যাডভোকেট মোঃ জিল্লুর রহমান ( জিল্লু ) জজ কোর্ট মেহেরপুর।

ফেসবুকে নিউজ পেতে ফলো করুন

© ২০২৫ দৈনিক সময় বাংলাদেশ । সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।
কারিগরি সহযোগিতাঃ দেশি হোস্টিং, আমঝুপি, মেহেরপুর।